টোকিও দূতাবাসে ২ গুণীকে সংবর্ধনা
ঢাকা: জাপান ও বাংলাদেশের দুই গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা দিয়েছে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ড. কাজী গিয়াস উদ্দিন- ‘দ্যা অর্ডার অব রাইজিং সান, গোল্ড’ এবং মাতসুশিরো হরিগুচি-‘দ্যা অর্ডার অব স্যাক্রেড ট্রেজার’-অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তাদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তার বক্তব্যের শুরুতে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের শুভেচ্ছা জানান। দূতাবাস কর্তৃক পাওয়া সংবর্ধনা গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ জানান। জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের এ সম্মান প্রাপ্তিতে আমরাও সমানভাবে গর্বিত। রাষ্ট্রদূত তাদের সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করেন।
কাজী গিয়াস উদ্দিন জাপান ও বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে ফাইন আর্টসে স্নাতক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে টোকিও ইউনিভার্সিটি অব আর্টস অ্যান্ড মিউজিক থেকে সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ফ্রিল্যান্সার শিল্পী হিসাবে জাপানে কাজ শুরু করলেও ক্রমেই তিনি জাপানে সুপরিচিত শিল্পী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার শিল্পকর্ম জাপান-বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান সাংস্কৃতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে অনবদ্য অবদান রাখায় ১৪০ জন বিদেশির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি হিসাবে এ সম্মাননা লাভ করেন। তিনি জাপানে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি মাতসুশিরো হরিগুচি জাপানের একজন পেশাদার কূটনীতিক ছিলেন। তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কূটনীতিক হিসাবে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি একটি বইও লেখেন। বাংলাদেশের বন্ধু এ ব্যক্তি এখন দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জনসেবায় অসামান্য অবদান রাখায় তাকে ‘দ্যা অর্ডার অব স্যাক্রেড ট্রেজার’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে গুণীজন ও তাদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাইকা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন এলহাম নুসরাত নন্দিতা।